টিউলিপের দুর্নীতি তদন্তে বাংলাদেশে ব্রিটিশ অপরাধ সংস্থার কর্মকর্তারা

- অনলাইন ডেস্ক
- 02 Feb, 2025
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থার (এনসিএ) কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসেছেন।
টিউলিপের বিষয়ে তথ্য নিতে এনসিএ কর্মকর্তারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন।
শনিবার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মেইল অন সানডে’ এই তথ্য দিয়েছে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়াসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপর গত মাসে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ হারাতে হয় টিউলিপ সিদ্দিককে। এবার তার এমপি পদ নিয়েও চলছে টানাটানি।
গত মাসে বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে হওয়া এনসিএ কর্মকর্তাদের বৈঠকে ব্রিটিশ দলকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান, তারা টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন তথ্য যোগাড় করতে সমর্থ হয়েছেন।
‘দ্য মেইল অন সানডে’ পত্রিকার খবরে বলা হয়, ব্রিটিশ কর্মকর্তারা এখন টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যাচাই, ইমেইলের তথ্য যাচাই এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকতে পারে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাতে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম এসেছে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি এতে মধ্যস্থতা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন- এমন অভিযোগ উঠেছে।
দ্য মেইল অন সানডে’ পত্রিকাকে বাংলাদেশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্রিটিশ দলটি ব্রিটেনে বালাদেশি কর্মকর্তাদের দ্বারা টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ চুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া তারা টিউলিপের বিরুদ্ধে হয়তো তদন্ত করতে পারে।
জানা যায়, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তার ১০ বছর বা এরও বেশি সময়ের জেল হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের এনসিএ কর্মকর্তারাই এই গোপন বৈঠকটি আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। এরপর ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন এটি আয়োজন করে।
এর আগেও এনসিএ কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেটি গত বছরের অক্টোবরে। সেবার তারা কথা দিয়ে গিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব অর্থ পাচার করা হয়েছে, সেগুলো ফেরত দিতে তারা সহায়তা করবেন।
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *