স্কুল কমিটির নাম প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৩০ জন

- Asraful Islam
- 14 Jan, 2025
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া যুবমিলন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নাম প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে, আওয়ামি লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সামসুদ্দিনের সমর্থকের উপর হামলা করে। হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছে প্রায় ৩০ জন। গত রবিবার দুপুর ১২ টায় নাদপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নাদপাড়া যুবমিলন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা নিয়ে রবিবার বিদ্যালয়ে মিটিং চলছিল। কমিটির আহ্বায়ক প্রার্থী ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির মতিয়ার রহমান ও সামসুদ্দিন মাস্টার। আলোচনা চলাকালে নাম প্রস্তাব নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। সেসময় এলাকার চিহ্নিত আওয়ামি সন্ত্রাসীরা জামায়াতের আমিরের পক্ষ নিয়ে সামসুদ্দীন মাস্টারের সমর্থকদের উপর হামলা করে। সেসময় সামসুদ্দীন মাষ্টারের প্রায় ৩০ জন সমর্থক আহত হয়।
ওই গ্রামের বিউটি খাতুন বাংলা এডিশনকে জানায়, ঘটনার পর জামাতের আমির মতিয়ার রহমানের উপস্থিতিতে তার সমর্থকেরা তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামি লীগের লোকজন তার ঘরের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করেছে। এছাড়াও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বসতবাড়ির আশেপাশে আওয়ামি সন্ত্রাসীরা ঘুরাফেরা করায় আতঙ্কে আছেন বলে জানান তিনি।
হামলায় আহত বাচ্চু বিশ্বাস বাংলা এডিশনকে জানান, বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে জামায়াতের আমির অনেক দিন আগে থেকেই ঝামেলা করার পরিকল্পনা করেছিল। আওয়ামি লীগের সন্ত্রাসীদের সহায়তায় পরিকল্পনা করে তাদের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ করে।
এ বিষয়ে জানতে জামায়াতের নেতা মতিয়ার রহমানের কাছে মুঠোফোনে কল করলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুম খান বাংলা এডিশনকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *