:

বাগেরহাটে সাবেক এমপি শেখ হেলাল, তন্ময়. বাদশাসহ ৩৫ জনের নামে মামলা, কারাগারে পুলিশ সুপার

top-news

ছাত্রজনতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও সরকারি স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, বাগেরহাট- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর নামে দ্রæত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রæয়ারি) রাতে জেলা শ্রমিকদল নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম মিঠু বাদী হয়ে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায় দ্রæত বিচার আইনে এই মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় রংপুর মেট্রোপটিন পুলিশের হাতে আটক সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে রবিবার বিকালে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মো. মতিউর রহমান আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরপর কড়া পুলিশ প্রহরায় বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে জেলা করাগারে পাঠানো হয়।




মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, আ.লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান বাবু, আ.লীগ নেতা ইমরুল হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মিনা হাসিবুর রহমান শিপন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, বাগেরহাট পৌর আওয়ামা লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, আ.লীগ নেতা শামীম আহসান, কাড়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা মহিতুর রহমান পল্টন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদের সরদার, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সৈয়দ বাদশা হোসেন, দুলাল আকন, মো. ফারুক, হোসেন বাদল, মমিনুল হক আকাশ, বাগেরহাট পৌর যুবলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির পলি, জেলা যুবলীগ নেতা সুমর রাহি, বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা দোলন মোল্লা, বাগেরহাট পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা ফারুক তালুকদার, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান সুলতান ওশান, কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মেহেদী হাসান বাবু, কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লিটন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্র জনতার ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামীরা গত বছরের ৪ আগষ্ট দুপুরে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্তর এলাকায় জড়ো হয়ে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস, ছাত্র জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকগুলি ছোড়ে। এছাড়া, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি আসামীদের ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ, সরকারি স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের নামে দ্রæত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। এই মামলায় বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে রবিবার বিকালে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মো. মতিউর রহমান আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

https://demo.therevoltnews.net/public/frontend/img/header-adds/adds.jpg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *