:

সম্প্রতির বন্ধনে বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চাই:উপাচার্য যবিপ্রবি

top-news

আমরা সম্প্রতির বন্ধনে বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চাই। ২৪-এর আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার। তাই সবাইকে একসাথে হয়ে এই ছোট্ট দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে হবে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(যবিপ্রবি) সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ।

সোমবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী মন্দির মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

সরস্বতী পূজার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, সবাইকে সম্প্রতির বন্ধনে আবদ্ধ থেকে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সম্প্রতির বন্ধন যখন শক্ত হবে, রাষ্ট্রের ভিত্তি তখন মজবুত হবে। তবেই আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম সফল হবে। যবিপ্রবি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ছোট আয়তনের বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। শিক্ষা ও গবেষণায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশসেরা। সকলে একসাথে জ্ঞান ও গবেষণা দিয়েই আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। 


যবিপ্রবি উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের সকলকে সচেতন নাগরিক হতে হবে। কারো উসকানিতে উৎফুল্ল না হয়ে নিজেদের বুদ্ধি ও বিবেককে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে দেশে অস্থিরতা তৈরি হবে না। আমাদের সম্প্রতির বন্ধন আরও শক্তিশালী হবে। তাহলেই বৈষম্যহীন দেশ গড়া সম্ভব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মো. আমজাদ হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: মীর মোশাররফ হোসেন, প্রধান চিকিৎসক ডা. দীপক কুমার মন্ডল, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিট্যাশন বিভাগের শিক্ষার্থী জীবন রায় আকাশ।


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. মজনুজ্জামান, ড. মো. আব্দুর রউফ সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিটি আর বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ বিশ্বাস। 

সরস্বতীর পূজা উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী মন্দিরে পথ আলপনা, বাণী অর্চনা, পুষ্পাঞ্জলি সহ নানা আয়োজনে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা উদ্‌যাপন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯:৩০টায় থেকে শুরু হয় পুষ্পাঞ্জলি ও হোমযজ্ঞ। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিকে একইসাথে যবিপ্রবির ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসে ভেটেরিনারি অনুষদেও বাণী অর্চনা, পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা উদ্‌যাপন করা হয়।

https://demo.therevoltnews.net/public/frontend/img/header-adds/adds.jpg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *