বাগেরহাটের কচুয়ায় শখের কুল বাগানে বছরে আয় ১৮ লাখ টাকা

- আবু-হানিফ বাগেরহাট প্রতিনিধি
- 03 Feb, 2025
প্রকাশ: ০ ৩ফেব্রুয়ারি ২০২৫
The Revolt News
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বিষখালী গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংকার সুজন গোলদারের ৮ একর জমির কুল বাগান থেকে এ বছর আয় হয়েছে ১৮ লাখ টাকা। রড অ্যাপেল, চায়না টক-মিষ্টি, ভারত সুন্দরী, বল সুন্দরী ও কাশ্মীরি জাতের সর্বমোট ২৪০০ গাছের প্রতিটিতেই ধরেছে ১২ থেকে ১৫ কেজি কুল।
খামারি সুজন গোলদার জানান, চার বছর আগে শখ ও নিজ পরিবারের চাহিদা মেটাতে বাড়ির আঙিনায় ২০টি বল সুন্দরী জাতের কুলের চারা রোপণ করেন। ভালো ফলন পাওয়ায় পরের বছর আট একর জমিতে শৌখিন অ্যাগ্রো নামে কুলের খামার গড়ে তোলেন।
খামারে ১২০০টি বল সুন্দরী ও ভারত সুন্দরী, ১২০০টি রড অ্যাপেল, চায়না টক-মিষ্টি, কাশ্মীরি জাতের কুলের চারা রোপণ করা হয়। প্রতিদিন এই বাগান থেকে আমি ১৮ থেকে ২০ মণ কুল সংগ্রহ করছি। ইতোমধ্যে ১৬ লাখ টাকার কুল বিক্রি হয়েছে। এখনো গাছে যে পরিমাণ কুল রয়েছে তাতে এ বছর ১৮ লাখ টাকার অধিক কুল বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
বর্তমানে বাগান থেকে আকার ভেদে প্রতি মণ কুল বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায়। খামারে ১২ জন শ্রমিক কর্মরত আছেন। তারা গাছের পরিচর্যা থেকে শুরু করে কুল তুলে বিক্রি করে থাকেন। এ ছাড়া বাগেরহাট সদর ও পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলা থেকেও অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী আমার খামার থেকে কুল কিনে থাকেন।
বাগানে কর্মরত বিষখালী গ্রামের তপন মিস্ত্রি বলেন, আমি গত তিন বছর এই বাগানে কাজ করছি। কুল গাছে কোনো রাসায়নিক সার ছাড়াই সরিষা খৈল, ভার্মিকম্পোস্টসহ বিভিন্ন জৈব সার ব্যবহার করা হয়। এ কারণে আমাদের গাছে ভালো ফলনের পাশাপাশি কুল অনেক বড় হয়ে। কুলের ভারে গাছগুলো নুয়ে পড়েছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শংকর কুমার মজুমদার জানান, বাগেরহাট জেলায় নতুন সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে কুল চাষে লাভবান হচ্ছে খামারিরা।
এ বছর জেলায় ৩৩৬ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। সুজন গোলদার কৃষি বিভাগ থেকে কুল চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল হয়েছে। আমরা তাকে এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় সার, কীটনাশক ও চারা দিয়ে সহায়তা করেছি। বাগেরহাট কৃষি বিভাগ এ ধরনের উদ্যোক্তাদের পাশে রয়েছে
The Revolt News
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *